করোনা প্রতিরোধে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের জন্য ফাইজারের বিশেষ টিকা এসেছে দেশে। আজ শনিবার সকালে বিশেষভাবে তৈরি ফাইজারের ১৫ লাখ ২ হাজার ৪০০ ডোজ টিকা এসেছে। আজ বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক শামসুল হক প্রথম আলোকে টিকা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটির আওতায় বাংলাদেশ এই টিকা পেয়েছে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।
মো. শামসুল হক আজ বলেন, ‘শিশুদের ফাইজারের টিকা দেওয়া হবে। তাদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি ফাইজারের কিছু টিকা আজকেই এসে পৌঁছেছে। আমরা আগামী মাস থেকেই পরিকল্পনা করে স্কুলভিত্তিক এ টিকা দেওয়া শুরু করব।’
আগামী মাসের কোন তারিখ থেকে টিকা দেওয়া হবে, তা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি শামসুল হক। তিনি বলেন, ‘এটা নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে ঠিক হবে। আশা করছি, আগামী মাসেই টিকা দেওয়া সম্ভব হবে।’
শুরুতে রাজধানীতে টিকা দেওয়া হবে বলে জানান তিনি। শামসুল হক বলেন, ‘স্কুলে দেওয়ার পর আমরা কমিউনিটিতে যেসব শিশু আছে, যারা স্কুলে আসে না; তাদের জন্য ক্যাম্পেইন করে টিকা দেব।’
সরকার গত এপ্রিল মাসেই ৫ থেকে ১১ বছর বয়সীদের টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানায়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শিশুদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে। দেশে এই বয়সী শিশুদের সংখ্যা ৪ কোটি ৪০ লাখ। এদের দেওয়ার জন্য ৪ কোটি ১০ লাখ টিকার নিশ্চয়তা স্বাস্থ্য বিভাগ পেয়েছে। শিশুদের দুই ডোজ করে টিকা দেওয়া হবে। এর জন্য টিকার প্রয়োজন হবে ৮ কোটি ৮০ লাখ ডোজ।
স্বাস্থ্য বিভাগ ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে দেশের মানুষকে করোনার টিকা দেওয়া শুরু করে। সরকারি ছুটির দিন ছাড়া নির্ধারিত টিকাকেন্দ্রে প্রতিদিন টিকা দেওয়া হচ্ছে। তারপরও ১২ বছরের বেশি বয়সী ৩৩ লাখ মানুষ এখনো প্রথম ডোজ টিকা নেননি। এ ছাড়া প্রথম ডোজ পাওয়া ৯৪ লাখ মানুষ দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেননি।
স্বাস্থ্য বিভাগের হিসাব অনুযায়ী, দেশের জনসংখ্যা ১৭ কোটি ৩ লাখ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, দেশে জনসংখ্যার ৭৬ শতাংশ করোনার টিকার প্রথম ডোজ এবং ৭১ শতাংশ দ্বিতীয় ডোজ টিকা পেয়েছে। আর ২৩ শতাংশ পেয়েছে বুস্টার ডোজ।