একটি সংবাদ প্রতিবেদনে এত ভুল থাকতে পারে তা নিজের চোখে না দেখলে কেও বিশ্বাস করতে পারবেন না। ২৪টি ভুল! দায়সারাভাবে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। এমনকি কোনরূপ সম্পাদনা ছাড়াই হুবহু আরও ৪/৫টি পত্রিকায় তা প্রকাশ করা হয়েছে। যা খুবই দুঃখজনক।
কী আছে ভুলেভরা ঐ প্রতিবেদনে
১. প্রতিবেদকের নামের বানানের প্রথমাংশ ‘মোঃ’ বানানে বিসর্গের জায়গায় বিন্দু (ফুল স্টপ) হবে। শব্দের সংক্ষিপ্তরূপে বিন্দু হয়, বিসর্গ নয়।
২. ‘প্রতিনিধি’র সাথে বিসর্গ নয়, কোলন হবে।
৩ এবং ৪. দাড়ি এবং কমার পরে একটি ফাকা থাকবে।
৫. ‘কোন’ এর স্থলে ‘কোনো’ হবে।
৬, ৭ এবং ৮. একটি ফাকা থাকবে।
৯. ফাকা থাকবে না।
১০. ‘উর্ত্তীণ’ নয় ‘উত্তীর্ণ’ হবে।
১১. একটি ফাকা থাকবে।
১২. ‘কোন’ এর স্থলে ‘কোনো’ হবে।
১৩. একটি ফাকা থাকবে।
১৪. ফাকা থাকবে না।
১৫. ‘দেওয়ার’ স্থলে ‘দিয়ে’ হবে।
১৬. একটি ফাকা থাকবে।
১৭. বিসর্গ নয়, কোলন হবে।
১৮, ১৯ এবং ২০. একটি ফাকা থাকবে।
২১ এবং ২২. দাড়ির পরে ‘উদ্ধরণ’ চিহ্ন এবং তারপরে একটি ফাকা থাকবে।
২৩ এবং ২৪. কমা এবং দাড়ির পরে ‘উদ্ধরণ’ চিহ্ন হবে।

উল্লেখ্য, উক্ত প্রতিবেদনে একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাংলা ২য় পত্র প্রশ্নে ১৫টি বানান ভুলের কথা বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে উপরের ছবিতে তীর চিহ্নিত তিনটি বানান ছাড়া ১২টি বানান-ই সঠিক ছিল। যে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রশ্নপত্র প্রণয়নে আরও বেশি দ্বায়িত্বশীলতার পরিচয় দেওয়া উচিত।
মানুষ শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকেই শিক্ষা গ্রহণ করে না, আরও অনেক ক্ষেত্র থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে। তার মধ্যে সংবাদ মাধ্যম অন্যতম। জাতির বিবেকও বলা হয় এই সংবাদ মাধ্যমকে। তাই কোন সংবাদ প্রকাশ করার আগে সবাইকে আরও বেশি সতর্ক, নির্ভুল, বস্তুনিষ্ঠ, এবং দায়িত্বশীল হওয়া দরকার।
