ফ্রান্সের কোচ হতে চেয়েছিলেন জিনেদিন জিদান। এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘অবশ্যই ফ্রান্সের কোচ হতে চাই। একদিন নিশ্চয় ওই দায়িত্ব পাবো। তবে সেটা কবে তা জানি না।’ লেস ব্লুজদের কোচ হওয়ার জন্য কাতার বিশ্বকাপ শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষাও করেছেন। বড় বড় ক্লাবে কাজ করার প্রস্তাব থাকলেও তিনি সাড়া দেননি।
কিন্তু জিদানের ওই পথ আপাতত বন্ধ। কিলিয়ান এমবাপ্পে-উসমান ডেম্বেলেদের কোচ হিসেবে পুনরায় চুক্তি নবায়ন করেছেন রাশিয়া বিশ্বকাপ জয়ী ও কাতার বিশ্বকাপে দলকে ফাইনালে তোলা দিদিয়ের দেশম। এক পথ বন্ধ হলেও রিয়াল মাদ্রিদকে টানা তিনটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতানো জিদানের সামনে কোচ হওয়ার আরও তিনটি পথ খোলা আছে বলে সংবাদ মাধ্যম দাবি করেছে।
ওই অপশনগুলোর একটি হলো ব্রাজিল জাতীয় দলের কোচ হওয়া। সেলেসাওরা সাধারণত বিদেশি কোচকে জাতীয় দলের ডাগ আউটে দাঁড়ানোর সুযোগ দেয়টা। কিন্তু দেশিরা চূড়ান্ত ব্যর্থ হওয়ায় এবং ইউরোপের ফুটবলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে ব্যর্থ হওয়ায় দেশটির ফুটবল কনফেডারেশন বেশ ক’জন বিদেশি কোচকে তাদের তালিকায় রেখেছে বলে সংবাদ মাধ্যমগুলো দাবি করেছে।
তার মধ্যে কার্লো আনচেলত্তি আছেন। যিনি রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে আগামী গ্রীষ্মের আগে দায়িত্ব নিতে পারবেন না। হোসে মরিনহোর নাম শোনা যাচ্ছে। তিনিও রোমার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ। তালিকায় এখন জিদান সবার ওপরে আছে বলে মনে করা হচ্ছে। সংবাদ মাধ্যম এল ইকুইপে জানিয়েছে, ব্রাজিলে জিদানকে খুব সম্মানের চোখে দেখা হয়। ওটাই তাকে কোচ হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে দিয়েছে।
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে সর্বজয়ী সাবেক মিডফিল্ডার জিদানকে কোচের দায়িত্ব দিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। ২০২৬ বিশ্বকাপের স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র। যৌথভাবে ওই বছর বিশ্বকাপ আয়োজনে থাকবে কানাডা ও মেক্সিকো। যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু বিশ্বমানের তরুণ ফুটবলার আছেন। তাদের প্রস্তুত করার জন্য জিজুকে দায়িত্ব দিতে চায় দেশটির ফুটবল ফেডারেশন। কিন্তু জিদান নেটিভ ইংলিশে পারদর্শী না হওয়ায় ওই প্রস্তাবে সাড়া দেবেন কিনা সন্দেহ।
জিদানের জন্য তৃতীয় পথ ক্লাব কোচিং। যদি ব্রাজিল-যুক্তরাষ্ট্রের দায়িত্ব তিনি না পান বা না নেন সেক্ষেত্রে আগামী মৌসুমে জুভেন্টাসে মেক্সিমিলিয়ানো আলেগ্রির স্থানে দেখা যেতে পারে তাকে। কিলিয়ান এমবাপ্পে খুব করে জিদানকে পিএসজি’র ডাগ আউটে চান। জিজুর জন্য সেটাও হতে পারে অপশন। আর ইংলিশ লিগে কখন কার চাকরি আছে, কখন নেই সেকথা আগ বাড়িয়ে বলা দুষ্কর।