অবসর জীবনে গলফ খেলে সময় পার করছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার আম্পায়ার রুডি কোয়ার্টজেন। সেই গলফ খেলার জন্য বের হয়ে মঙ্গলবার এক সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে তার।
২০০টিরও বেশি ওয়ানডে এবং ১০০টি টেস্টে দায়িত্ব পালনকারী কোয়ার্টজেনের মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। স্টিভ বাকনারের পর ম্যাচ পরিচালনায় ইতিহাসের দ্বিতীয় আম্পায়ার কোয়ার্টজেন।
তার ছেলে জুনিয়র কোয়ার্টজেন গণমাধ্যমককে এই খবর নিশ্চিত করে জানান, গলফ খেলার জন্য বন্ধুদের সঙ্গে অন্য শহরে গিয়েছিলেন তিনি, ‘গলফ খেলার জন্য কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে বের হয়েছিলেন। সোমবার ফিরে আসার কথা থাকলেও আরেক রাউন্ড খেলার জন্য সময় বাড়ান।’ জানা যায়, কেপটাউন থেকে ডেসপাচ যাওয়ার রাস্তায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে প্রাণ হারান তিনি।
১৯৮১ সালে আম্পায়ার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন এই প্রোটিয়া। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকটা ১৯৯২ সালে। ভারতের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের সময় প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচের দায়িত্ব পালন করেন দক্ষিণ আফ্রিকার এ আম্পায়ার।
৪৩ বছর বয়সে, পোর্ট এলিজাবেথে তার প্রথম টেস্ট ম্যাচ পরিচালনা করেন কোয়ার্টজার। সেটাই ছিল প্রথম সিরিজ যেখানে টেলিভিশন রিপ্লে ব্যবহার করা হয়েছিল রান আউট বিচার করার জন্য।
পূর্ণকালীন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) আম্পায়ার হিসেবে নিযুক্ত হন ১৯৯৭ সালে। ২০০২ সালে হন এলিট প্যানেলের সদস্য।
২০০৩ ও ২০০৭ বিশ্বকাপের ফাইনালে তৃতীয় আম্পায়ার ছিলেন কোয়ার্টজেন। ২০১০ সালে, অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তানের মধ্যে টেস্ট ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক আম্পায়ারিং থেকে অবসর নেন তিনি।
মঙ্গলবার কোয়ার্টজেনের সম্মানে ইংল্যান্ড লায়ন্সের বিপক্ষে ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার খেলোয়াড়রা কালো বাহুবন্ধন পরার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
২০১১ সালে আইপিএলের ম্যাচে সব শেষবার তাকে আম্পায়ারিং করতে দেখা গেছে।