হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে এবারও পশুর চামড়ার বেশি দাম পেলেন না কোরবানিদাতারা। কোরবানির পরপরই চামড়া কিনতে খুচরা ক্রেতা বা পাইকার না আসায় কেউ মাদরাসায় দান করেছেন, কেউ বা রবিদাস সম্প্রদায়ের লোকজনকে বিনা মূল্যে দিয়েছেন। কেউ কেউ আবার মাটিতে পুঁতে ফেলেছেন।
জানা গেছে, মূল্যবান এই চামড়া কেউ কেউ ১০০ বা ২০০ টাকায় বিক্রির দাবি করছেন। তবে এই বছর হাওরের পানিতে চামড়া ভাসিয়ে দেওয়ার ঘটনা জানা যায়নি। বানিয়াচংয়ের ১ নম্বর উত্তর-পশ্চিম ইউপি সদস্য দেওয়ান নাসিরুদ্দিন জানান, তিনি তার নিজের বাড়িতে কোরবানি দেওয়া গরুর চামড়া ১০০ টাকায় বিক্রি করেছেন।
২ নম্বর উত্তর-পশ্চিম ইউনিয়নের ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হালিম সোহেল জানান, তাদের বাড়ির কোরবানি দেওয়া কয়েকটি গরু তিন লাখ টাকায় কেনা হয়েছিল। সেসব চামড়া বিনা মূল্যে দিতে বাধ্য হয়েছেন।
৩ নম্বর দক্ষিণ-পূর্ব ইউপি চেয়ারম্যান আরফান উদ্দিন জানান, যারা চামড়া নিতে আসছিল- তাদের কাছে চামড়ার দাম চাওয়ায় উল্টো তারা আরো ২০০ টাকা দাবি করেছিল। বাধ্য হয়ে নিজের বাড়ির কোরবানির চামড়া বিনা মূল্যে দিয়ে দিয়েছেন।
৪ নম্বর দক্ষিণ-পশ্চিম ইউনিয়নের নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন জানান, চামড়া কেনার জন্য কেউ আসে নাই। রবিদাস সম্প্রদায়ের লোকজনকে ডেকে চামড়া বিনা মূল্যে দিয়েছেন।
৬ নম্বর কাগাপাশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এরশাদ আলী জানান, চামড়া কিনতে কেউ আসে নাই। একজনকে ডেকে বিনা মূল্যে দিয়ে দিয়েছি।
আরও পড়ুন :
ভাইরাল ডায়ালগ ‘আসকে আমার মন বালো নেই’ এর জনক চট্টগ্রামের কাজী হান্নান আহমেদ উৎস
৮ নম্বর খাগাউড়া ইউপির চেয়ারম্যান মাসুদ কোরাইশী মক্কী জানান, চামড়া কেনার জন্য কোনো লোক আসে নাই। আমার বাড়ির চামড়া আমি মাদরাসায় দিয়েছি। আমি অনেক মানুষের বাড়ির সামনে চামড়া রেখে দিতে দেখেছি।
৯ নম্বর পুকড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাফেজ শামরুল ইসলাম জানান, তিনি কোরবানির গরুর চামড়া মাদরাসায় দান করে দিয়েছেন।
আক্তার হোসেন আলহাদী নামের এক ব্যক্তির দাবি, চামড়া কিনতে কেউ না আসায় নিজেদের বাড়ির কোরবানির পশুর দুটি চামড়া মাটিতে পুঁতে ফেলেছেন। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, একটি গরুর চামড়ার দাম দিতে চায় মাত্র ২০ টাকা। মাটিতে পুঁতে না ফেলে কী করব বলুন?
বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহ বলেন, চামড়া জাতীয় সম্পদ। চামড়া ফেলে না দিয়ে বা নষ্ট না করে সংরক্ষণ করার জন্য আমরা বলে দিয়েছি।
[…] […]