নাম তার এলএলসি বিগবস। আজ থেকে সাড়ে পাঁচ বছর আগে ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার ডাঙ্গীপাড়া ইউনিয়নের তালতলা গ্রামের বাসিন্দা আলিফ উদ্দিন নামের এক কৃষক এই গরুটিকে স্থানীয় এক বাজার থেকে ক্রয় করেন।
গরুটিকে খাওয়ানো হয় খেসারির ডাল, ভুষি, ছোলাবুট, মসুর ডাল, আপেল, কলা, আঙ্গুর। বিগবসের পেছনের প্রতিদিন আলিফ উদ্দীনের খচর হয় প্রায় আড়াই হাজার টাকা।
আলিফ উদ্দীনের দাবি, বর্তমানে ১০ ফুট লম্বা, সাড়ে পাঁচ ফুট উচ্চতা বিগবসের ওজন ১৫৫০ কেজি বা ৩৮.৭ মণ। আসন্ন কোরবানিকে সামনে রেখে বিগবসের বাজার মূল্য তিনি হাঁকিয়েছেন ৩৫ লাখ টাকা।
উত্তরঅঞ্চলের সবচেয়ে বেশি ওজনের এ গরুটি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে দেশজুড়ে। জেলার বাইরে থেকে প্রতিদিন গরুটিকে এক নজরে দেখার জন্য আলিফ উদ্দীনের বাসায় ভিড় করছেন উৎসুক জনতা। ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকেও গরুটিকে ক্রয় করার জন্য আসছেন তার বাড়িতে। তবে দামে না মেলায় কিনতে পারছেন না ক্রেতারা।
গরুটি দেখতে আসা অনিক, সুমন, রুবেল, রিপন বলেন, আমরা কিছুদিন আগে শুনেছি বিগবস নাকি দেখতে হাতির মতো। তাই নিজেরাই দেখতে আসলাম। এত বড় গরু আমরা এর আগে কথাও দেখেনি।
আরও পড়ুন :
কোরবানির হাট কাঁপাতে আসছে ৩২ মণ ওজনের ‘মেসি’
‘কালা মানিক’ নাম ধরে ডাকতেই গর্জে ওঠে ২৫ মন ওজনের ষাড়টি
২০ লাখ টাকা দাম হাকা হলো ৩৬ মণ ওজনের ‘স্বপ্নরাজ’ এর
গরুটিকে কিনতে আসা ক্রেতারা জানান, আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে গরুটি সম্পর্কে জানতে পেরে গরুটি ক্রয় করতে এসেছি। কিন্তু দামটা অনেক বেশি হওয়ায় ফিরে যাচ্ছি।
গরুর মালিক আলিফ উদ্দিন বলেন, শখের বসে এলএলসি জাতের গরুটি কিনেছিলাম। এটির পিছনে পাঁচ বছর সময় দিয়েছি। গরুকে মোটাতাজা করার জন্য কোন প্রকার ঔষধ ব্যবহার করিনি। প্রতিদিন গরুর খাওয়ার পেছবে খরচ হতো ২৫০০ টাকার মতো। তার চাল-চলনে নাম রেখেছি বিগবস। প্রতিদিন ৫০০-৭০০ মানুষ আসেন বিগবস দেখতে। কোরবানির ঈদে বিগবস বিক্রির জন্য দাম রেখেছি ৩৫ লাখ টাকা। আর যিনি কিনবেন তার জন্য উপহার হিসেবে দেওয়া হবে একটি মোটরসাইকেল।
হরিপুর উপজেলার প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. আবু কায়েস বিন আজিজ বলেন, এলএলসি জাতের বিগবস গরুটি ঠাকুরগাঁওয়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় আকৃতি ৷ বেশি ওজনের গরু। প্রাণী সম্পদ অফিস থেকে গরুটির প্রতিদিন খোঁজখবর নেওয়া হয়।
[…] […]
[…] […]