বাংলাদেশ ১টি রৌপ্য আর ৬টা ব্রোঞ্জ পেল এশিয়ান-প্যাসিফিক ম্যাথমেটিক্যাল অলিম্পিয়াডে

এশিয়ান-প্যাসিফিক ম্যাথমেটিক্যাল অলিম্পিয়াডের (এপিএমও) ১টি রৌপ্য ও ৬টি ব্রোঞ্জপদক জিতেছে বাংলাদেশ দল। এসেছে আরও তিনটি সম্মানজনক স্বীকৃতি। আয়োজকদের পক্ষ থেকে ১১ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয় এই ফল। এবারের আয়োজনে অংশ নেয় ৩৫টি দেশের ৩১৮ শিক্ষার্থী। মোট ১২৯ দলীয় স্কোর নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ১৮তম।

বাংলাদেশ দলের হয়ে রৌপ্যপদক পেয়েছে সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী এস এম এ নাহিয়ান। ব্রোঞ্জপদক পেয়েছে রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের আহিল ইসলাম, নাটোর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের রায়ান বিনতে মোস্তফা, নটরডেম কলেজের তাহমিদ হামীম চৌধূরী, আদনান সাদিক ও আশরাফুল ইসলাম এবং ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের ফুয়াদ আল আলম। সম্মানজনক স্বীকৃতি পেয়েছে মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ের তাহমিম নূর জাহিন, মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সানিভা রাকিব ও বগুড়া জিলা স্কুলের অরিত্র দাশ।

বাংলাদেশ দলের হয়ে রৌপ্যপদক পেয়েছে সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী এস এম এ নাহিয়ান

বাংলাদেশ দলের হয়ে রৌপ্যপদক পেয়েছে সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী এস এম এ নাহিয়ান

গণিত অলিম্পিয়াডের একাডেমিক সমন্বয়ক সাব্বির রহমান বলেন, ‘এবারের ফলাফলে আমরা বেশ আনন্দিত। এপিএমওর নিয়ম অনুযায়ী একটি দেশ সর্বোচ্চ সাতটি পদক পেতে পারে, আমরা সাতটিই অর্জন করেছি।’

এই অর্জন কেন আলাদা, বললেন বাংলাদেশ গণিত দলের কোচ মাহবুব মজুমদার, ‘বাংলাদেশ এবার ইরানের মতো দক্ষ দেশকে পেছনে ফেলে একটি রৌপ্য ও ছয়টি ব্রোঞ্জপদক পেয়েছে। আমাদের মেয়েরাও এবার তাদের দক্ষতা দেখিয়েছে। যেমন রায়ান বিনতে মোস্তফা ব্রোঞ্জপদক পেয়েছে। এর সব কৃতিত্ব গণিত অলিম্পিয়াডের অসংখ্য স্বেচ্ছাসেবকের, যাঁরা বিভিন্ন ক্যাম্প পরিচালনা করেছেন এবং শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন।’

আরও পড়ুন :

বাংলাদেশের রোভার এশিয়া মহাদেশের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করল

বাংলাদেশী নারী ওয়াসফিয়া নাজরীন কে-টু ও ব্রড পিক শৃঙ্গ ছুঁতে যাচ্ছেন

ফল উৎপাদন বৃদ্ধির হারে সর্বোচ্চ রেকর্ড বাংলাদেশের

রৌপ্যপদক বিজয়ী এস এম এ নাহিয়ান বলল, ‘এপিএমওতে রৌপ্যপদক পেয়ে অনুপ্রাণিত হয়েছি। ভবিষ্যতে আরও ভালো পদক অর্জন করে, দেশের জন্য আরও বড় সম্মান বয়ে আনতে চাই।’

অনলাইনে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীরা অংশ নেয় গত ১৫ মার্চ। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে সামাজিক দূরত্ব মেনে এ আয়োজন করা হয়। সবচেয়ে ভালো নম্বর পাওয়া ১০ জনের উত্তরপত্র পাঠানো হয় আয়োজক কমিটির কাছে।

প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রতিবছর আয়োজন করা হয় এপিএমও। ২০০৮ সালে প্রথম এতে অংশ নেয় বাংলাদেশ। বাংলাদেশে গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি (বিডিএমও) স্থানীয়ভাবে এপিএমও আয়োজন করে। প্রথম বছর কোনো পদক না পেলেও ধীরে ধীরে ভারী হতে থাকে বাংলাদেশের ঝুলি। ১৫ বছরে বাংলাদেশ পেয়েছে মোট ৫৬টি পদক, যার মধ্যে আছে ১টি স্বর্ণ, ১২টি রৌপ্য আর ৪৩টি ব্রোঞ্জপদক। এ ছাড়া আছে ৪০টি বিশেষ সম্মাননা। প্রায় প্রতিবছরই সেরা ২০ দলের মধ্যে অবস্থান করেছে বাংলাদেশ দল।

ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতা ও প্রথম আলোর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশে এপিএমওর আয়োজন করে বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি।

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
2 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
ঈদের আগে আর এসএসসির সম্ভাবনা নেই - Ajker Valo Khobor
3 years ago

[…] বাংলাদেশ ১টি রৌপ্য আর ৬টা ব্রোঞ্জ পেল … […]

পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) পরীক্ষায় সম্মানী বাড়ল ৫০ শতাংশ - Ajker Valo Khobor
3 years ago

[…] বাংলাদেশ ১টি রৌপ্য আর ৬টা ব্রোঞ্জ পেল … […]