বাংলাদেশের তৈরি সফটওয়্যার ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ প্রায় সবক্ষেত্রে সফলতার সাথে ব্যবহার হচ্ছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন,
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে কানাডিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, বাংলাদেশের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য শিরিন আক্তার, কানাডা বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট মাসুদ রহমান এবং কানাডিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, বাংলাদেশের অধ্যক্ষ জেনিস স্মেলস বক্তৃতা করেন।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, পৃথিবীতে বাংলাদেশ প্রথম ডিজিটাল দেশ হিসেবে ঘোষিত হয়। আমরাই পৃথিবীতে ডিজিটাল বিপ্লবের পথ প্রদর্শক হিসেবে অনুকরণীয়। ডিজিটালাইজেশনের ফলে অভাবনীয় অগ্রগতি অর্জনের মাধ্যমে উন্নত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার দ্বারপ্রান্তে আমরা উপনীত হয়েছি।
আরও পড়ুন :
জাতীয়ভাবে পরিচিত হাড়িভাঙ্গা আম বিদেশে রপ্তানির প্রস্তুতি
ভবিষ্যতে কাগজের নোটের পরিবর্তে ডিজিটাল মুদ্রা চালুর ইংগিত দিলেন অর্থমন্ত্রী
ব্যর্থতায় ভেঙে না পড়ে কাজকে ভালবেসে অবশেষে গুগলে যোগ দিলেন সিলেটের নাফিউল আদনান
তিনি বলেন, সামনের দিন হচ্ছে নতুন প্রজন্মের। ছাত্র-ছাত্রীদের মুখের দিকে তাকিয়ে আমরা আগামীর সুন্দর বাংলাদেশ দেখতে পাই। ছাত্র-ছাত্রীদেরকে উপযুক্ত শিক্ষার মাধ্যমে ডিজিটাল দক্ষতাসম্পন্ন মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য দেশের শিক্ষক সমাজের অপরিসীম দায়িত্ব রয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বিশ্বের অনেক উন্নত দেশ তাদের জনসম্পদের ঘাটতি মিটাতে রোবট, কৃত্রিমবুদ্ধিমত্তা কিংবা আইওটি প্রযুক্তিকে তাদের অবলম্বন হিসেবে মনে করেছে। ফলে তারা ডিজিটাল যান্ত্রিক সভ্যতার দিকে ঝুঁকছে। কিন্তু প্রযুক্তির কারণে আমার দেশের জনশক্তিকে কখনো চ্যালেঞ্জের মুখে আমরা দাঁড় করাতে দিতে পারি না। আমরা প্রযুক্তিকে কোনো অবস্থাতেই মানুষের বিকল্প হিসেবে দেখতে চাই না। যাতে উন্নত দেশের জন্য রোবট কিংবা ডিজিটাল যন্ত্র রপ্তানি করতে পারি সে বিষয়ে আমাদের প্রস্তুতি গ্রহণের এখনই সময়।
শিরিন আক্তার ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশে বলেন, জীবনের স্বপ্নটা বড় করে দেখতে হবে এবং স্বপ্ন বাস্তবায়নে অদম্য হতে হবে। কোনো অবস্থাতেই পেছনে তাকানো যাবে না।