সুস্থ থাকতে চাইলে নিজের মধ্যে এই অভ্যাসগুলো গড়ে তুলুন

কথায় বলে- সকাল থেকে আমরা যে ভাবে চলব সেভাবেই কাটবে সারাটা দিন। আমাদের প্রত্যেকেরই কিছু নির্দিষ্ট রুটিন থাকে। কেউ সকালে ঘুম থেকে উঠতে চান না। আবার কেউ দ্রুত ঘুম থেকে উঠে চলে যান মর্নিং ওয়াকেও।

সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হলে এবং সময়মতো কাজ না হলে কিন্তু বাকি কাজে দেরি হয়ে যায়। গত দুই বছরে করোনা মহামারির কারণে অনেক রুটিনেই পরিবর্তন এসেছে। সকালে ঘুম থেকে উঠেই প্রয়োজনীয় কাজ সেরে অফিস যাওয়ার কোনও তাড়া নেই। কারণ অফিস এখন বাড়িতেই।

কিন্তু এর ফলে বেশ কিছু অস্বাস্থ্যকর কিছু অভ্যাস যোগ হয়েছে আমাদের প্রতিদিনের রুটিনে। এই সব অভ্যাস একদমই ছেঁটে ফেলতে পারলে শরীর যেমন থাকবে সুস্থ, ঠিক তেমনই কিন্তু মনের দিক থেকেও ভাল থাকবেন। এতে ভাল থাকবে আপনার চারপাশের মানুষও।

ঘুম ভাঙলেই প্রথমে নজর যায় ফোনের দিকে নতুন কোনও নোটিফিকেশন বা মেসেজের দিকেই চোখ প্রথম টানে। তারপর সোশ্যাল মিডিয়া তো আছেই। আর এতেই কিন্তু চাপ বাড়ে চোখের উপর। সারাদিন মাথা ব্যথার মত সমস্যাও কিন্তু থাকতে পারে। কর্মক্ষমতাও কমে যায়।  

আরও পড়ুন :

মাত্র ৩০ দিনে নিজেকে আকর্ষণীয় করে তুলুন

পরীক্ষামূলক ওষুধ সেবনেই পরিপূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠলেন ক্যানসার রোগী

আমি কিভাবে মোটা হবো’: শীর্ণকায় হওয়ার বিড়ম্বনা এড়াতে স্বাস্থ্যবান হতে চাইছেন? যেসব ভুল করবেন না

আর তাই ঘুম থেকে উঠে প্রথমে এক গ্লাস পানি খান। এরপর কিছুক্ষণ খোলা জানালার পাশে বসুন বা বারান্দায় বসুন। সকালে অন্তত ২ ঘণ্টা শুধুমাত্র নিজের জন্য রাখুন। এই সময়টা সোশ্যাল মিডিয়া থেকে একদমই দূরে থাকুন। শরীরচর্চা অবশ্যই করবেন। সকালের চা কিংবা কফি উপভোগ করুন। প্রয়োজনীয় বই কিংবা সংবাদপত্র পড়ুন। এই সময়টা সম্পূর্ণ ভাবেই নিজেকে দিন।

ব্রেকফাস্ট কিন্তু কোনও ভাবেই বাদ দেবেন না। অনেকেই ঘুম থেকে দেরি করে ওঠেন এবং সোজা চা বা কফি খেয়ে লাঞ্চ করেন। এই অভ্যাস আমাদের শরীরের জন্য কিন্তু একদমই ভাল নয়। হজমের সমস্যা তৈরি হয়। শরীরচর্চা সেরে স্বাস্থ্যকর কোনও ব্রেকফাস্ট খান।  

সকালে উঠে পরিকল্পনা মাফিক কাজ করুন। আগের রাতেই সব ঠিক করে রাখুন। তাতে কাজ সময় মতো হবে। এবং ঠিকমতো হবে। গোসল সারতে দেরি করবেন না। বরং দিনের শুরুতেই আগে গসল করে নিন। এতে শরীর-মন তাজা থাকবে। কাজে মন বসবে। আর হরমোনও সঠিক ভাবে কাজ করতে পারবে। হরমোন যদি ঠিকভাবে কাজ করে তাহলে আমাদের কর্মক্ষমতা এবং এনার্জিও কিন্তু বাড়বে।

কোনও নেগেটিভিটি নিয়ে ঘুম থেকে উঠবেন না। বরং পজিটিভ কিছু ভাবুন। নিজেই নিজেকে উৎসাহ দিন। কিছু ভাল জিনিসের জন্য কিন্তু নিজের কাছেই কৃতজ্ঞ থাকুন। এছাড়াও যারা আপনার চলার পথের সাথী তাঁদেরও কিন্তু ধন্যবাদ জানাতে ভুলবেন না।

সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
1 Comment
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
এক নজরে কাতার বিশ্বকাপের সময়সূচি - Ajker Valo Khobor
2 years ago

[…] […]