সমতায় ফিরে কিছু সময়ের জন্য ব্রাজিলকে ভড়কে দিয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়া। তবে সেলেসাওদের চাপের সামনে শেষ পর্যন্ত ভেঙে পড়তে হলো এশিয়ার দলটিকে। দাপুটে পারফরম্যান্সে প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে দিল তিতের শিষ্যরা। রেকর্ড পাঁচবারের বিশ্বকাপজয়ীদের পক্ষে জোড়া গোল করে নজর কাড়লেন নেইমার।
বৃহস্পতিবার সিউলের বিশ্বকাপ স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে স্বাগতিকদের ৫-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছে ব্রাজিল। ক্রসবার ও গোলপোস্ট বাধা না হয়ে দাঁড়ালে আরও বড় ব্যবধানে জিততে পারত তারা।
শুরুতেই রিচার্লিসনের লক্ষ্যভেদে দক্ষিণ আমেরিকার পরাশক্তিরা এগিয়ে যাওয়ার পর উই-হো হুয়াংয়ের গোলে লড়াইয়ে আসে সমতা। এরপর পিএসজি ফরোয়ার্ড নেইমারের পেনাল্টিতে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় তারা। দ্বিতীয়ার্ধে তার আরেকটি সফল স্পট-কিকে ব্যবধান বাড়ায় ব্রাজিল। পরে বদলি নামা ফিলিপে কৌতিনহো ও গ্যাব্রিয়েল জেসুসের গোলে বড় জয় নিশ্চিত হয় তাদের।
৫৯ শতাংশ সময়ে বল পায়ে রাখা ব্রাজিল প্রতিপক্ষের গোলমুখে আক্রমণের বন্যা বইয়ে দেয়। তাদের নেওয়া ২৫টি শটের মধ্যে লক্ষ্যে ছিল নয়টি। অন্যদিকে, কোরিয়ানদের সাতটি শটের ছয়টি ছিল লক্ষ্যে।
আরও পড়ুন :
★★ইতালিকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে ফিনালিসিমা ট্রফি জিতল আর্জেন্টিনা
★★ইন্দোনেশিয়া ফুটবল দলকে রুখে দিল বাংলাদেশ
ম্যাচের সপ্তম মিনিটে আলেক্স সান্দ্রোর কাটব্যাকে জোরালো শট নেন ফ্রেদ। এরপর ফ্লিক করে এভারটন ফরোয়ার্ড রিচার্লিসন খুঁজে নেন জালের ঠিকানা। এই লিড ৩১তম মিনিট পর্যন্ত ধরে রাখে ব্রাজিল। এরপর সমতায় ফেরে দক্ষিণ কোরিয়া। হি-চ্যান হুয়াংয়ের কাছ থেকে ডি-বক্সের প্রান্তে বল পেয়ে যান উই-হো। ডিফেন্ডার থিয়াগো সিলভাকে এড়িয়ে ডান পায়ের জোরালো শটে গোলরক্ষক ওয়েভারতনকে পরাস্ত করেন তিনি।
৩৮তম মিনিটে সান্দ্রোর ক্রসে রিচার্লিসনের হেড দারুণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন কোরিয়ান গোলরক্ষক সিউং-গিউ কিম। ফিরতি বল নিয়ন্ত্রণে নিতে গিয়ে ফাউলের শিকার হন সান্দ্রো। এরপর ভিএআরের সাহায্যে রেফারি বাজান পেনাল্টির বাঁশি। নেইমার সহজ সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল করেননি। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ভাগ্যের ফেরে গোল পায়নি ব্রাজিল। নেইমারের কর্নারে সিলভার হেড বাধা পায় ক্রসবারে।
বিরতির পর ম্যাচে ৫৬তম মিনিটে আবার ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টি পায় সফরকারীরা। এবারে সান্দ্রোকে ডি-বক্সের মধ্যে ফাউল করেন ইয়ং-গুওন কিম। গোলরক্ষক সিউং-গিউকে ভুল দিকে পরিচালিত করে নিশানা ভেদ করে ব্যবধান বাড়ান তিনি।
৭৫তম মিনিটে নেইমারের পাসে লিডস ইউনাইটেডের ফরোয়ার্ড রাফিনহার বাঁকানো শট ফিরে আসে পোস্টে লেগে। তিন মিনিট পর বদলি হিসেবে মাঠে ঢোকেন কৌতিনহো ও জেসুস। তারা দুজনেই পরে ব্রাজিলকে মাতান গোলের উল্লাসে।
৮০তম মিনিটে জটলার মধ্যে অ্যাস্টন ভিলা ফরোয়ার্ড কৌতিনহোর দুর্দান্ত ভলি ঢোকে জালে। এতে কোরিয়ানদের লড়াইয়ে ফেরার আশা একরকম শেষ হয়ে যায়। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে পঞ্চম গোলের স্বাদ নেয় ব্রাজিল। ব্রুনো গিমারেসের কাছ থেকে বল পেয়ে অসাধারণ নৈপুণ্যে আক্রমণে ওঠেন ম্যানচেস্টার সিটি ফরোয়ার্ড জেসুস। এরপর প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারদের চ্যালেঞ্জ এড়িয়ে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি।
[…] […]