মহামারী পরিস্থিতির উন্নতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বাভাবিক সময়ের মতো শ্রেণি কার্যক্রম চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আগামী ১৫ মার্চ থেকে পুরোদমে ক্লাস শুরু হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
শনিবার ঢাকার টিকাটুলিতে শেরে বাংলা বালিকা মহাবিদ্যালয়ে লীলা নাগ ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
দীপু মনি বলেন, “করোনার কারণে আমরা এতদিন ক্লাস শুরু করতে পারিনি। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। শিক্ষার্থীদেরও টিকার আওতায় আনা হয়েছে।
“এ অবস্থায় ১৫ মার্চ থেকে স্বাভাবিক নিয়মে ক্লাস হবে। শিগগিরই এ সংক্রান্ত নোটিস দেওয়া হবে। একইসঙ্গে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের করণীয় সম্পর্কে বলে দেওয়া হবে।”
দুই বছর ধরে বন্ধ থাকা প্রাক-প্রাথমিকেও ১৫ মার্চ থেকে শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হচ্ছে বলে প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয় ইতোপূর্বে জানিয়েছিল। প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের ক্লাস শুরু হলেও চলছে সীমিত পরিসরে।
করোনাভাইরাস মহামারীর প্রাদুর্ভাবের পর ২০২০ সালের মার্চ মাসে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছিল সরকার। তখন শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হয় অনলাইনে।
দেড় বছর বন্ধ থাকার পর গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর সব স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়া হয়।
কিন্তু করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের দাপটে এ বছরের শুরু থেকে সংক্রমণ ফের বাড়তে শুরু করলে গত ২১ জানুয়ারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুনরায় বন্ধের ঘোষণা আসে।
পরিস্থিতির উন্নতিতে গত ২২ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়া হয়। এরপর ২ মার্চ খোলে প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এইচএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার্থীরা এখন চারটি বিষয়ে এবং দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা তিনটি বিষয়ে প্রতিদিন ক্লাস করছে। অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে সপ্তাহে দুইদিন তিন বিষয়ে এবং ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে একদিন তিন বিষয়ের ক্লাস হচ্ছে।
১৫ মার্চ থেকে পুরোদমে ক্লাস শুরু হলেও মাধ্যমিকে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পাঠদান হবে জানিয়ে দীপু মনি বলেন, “এ সিলেবাসের আলোকে বার্ষিক মূল্যায়ন পরীক্ষা হবে। আমরা চাই না শিক্ষার্থীরা কোনো চাপে থাকুক।”
নতুন কারিকুলাম চালু হলে পরীক্ষানির্ভর মূল্যায়ন থেকে বের হয়ে আসা যাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
“প্রতিদিনের লেখাপড়া মূল্যায়ন প্রতিদিনই হবে। বছর শেষে সীমিত আকারে পরীক্ষা হবে, সারা বছরের মূল্যায়ন সমন্বয় করে চূড়ান্ত মূল্যায়ন করা হবে।”
সূত্র : বিডিনিউজ২৪.কম