যমুনা সার কারখানার সামনে শ্রমিকদের নিজেদের মধ্যে এবং পরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। বৃহস্পতিবার দুপুরে জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে।
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে এক চালককে মারধরের প্রতিবাদে যমুনা সার কারখানা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ২০ জেলায় সার পরিবহন বন্ধ ঘোষণা করেছে তারাকান্দি ট্রাক চালক শ্রমিক ইউনিয়ন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে শ্রমিকনেতারা জরুরি সভা ডেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সার পরিবহন বন্ধ ঘোষণা করেন।
যমুনা সার কারখানার শ্রমিক ও ট্রাকচালক সূত্রে জানা গেছে, আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় কারখানার ভেতরে ট্রাকে সার লোডিংয়ের শ্রমিক শামীম মিয়াকে মারধর করেন শ্রমিক সরদার ও স্থানীয় পোগলদিঘা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মোফাজ্জাল হোসেন ও তাঁর দলবল। এরপর মোফাজ্জল হোসেন শতাধিক শ্রমিক নিয়ে কারখানা থেকে বের হয়ে যান। পরে শামীম মিয়া ও মোফাজ্জল হোসেনের অনুসারী শ্রমিকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ তারাকান্দি ট্রাক চালক শ্রমিক ইউনিয়ন কার্যালয়ের সামনে চালকদের ওপর লাঠিচার্জ করে চালক নাইম মিয়াকে আহত করেন। চালককে লাঠিচার্জ করায় ইউনিয়নের নেতারা তাৎক্ষণিকভাবে সভা ডেকে কারখানা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সার পরিবহন বন্ধ ঘোষণা করেন।
ট্রাকচালক নাইম মিয়া বলেন, ‘আমি শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। এ সময় পুলিশ এসে আমাকে বিনা কারণে মারধর করে। পরে চালকেরা এগিয়ে এলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। আমাকে মারধরের প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে চালকেরা কারখানা থেকে সার পরিবহন বন্ধ ঘোষণা করেছেন।’
সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর রকিবুল হক বলেন, সার কারখানার শ্রমিকদের দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ওই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ মৃদু লাঠিচার্জ করে। ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে থাকায় কারখানার শ্রমিক ভেবে পুলিশ ভুলক্রমে একজন ট্রাকচালকের ওপর লাঠিচার্জ করে।