বিদ্যমান ব্যবস্থায় যেভাবে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে, নতুন শিক্ষাক্রমে তা থাকবে না।
রবিবার (১৪ নভেম্বর) পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনের পর এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘নতুন কারিকুলামে (কারিকুলামে) পরীক্ষা থাকার কথা না। তখন ভিন্নভাবে মূল্যায়ন হবে। অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ধারাবাহিক মূল্যায়নে নিয়ে যাওয়া হবে।’
শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘জেএসসি-জেডিসি নতুন কারিকুলাম হয়ে গেলে সেই অনুযায়ী মূল্যায়ন হবে। ভিন্নভাবে, ভিন্ন পদ্ধতিতে মূল্যায়ন হবে। ধারাবাহিক মূল্যায়নের বিষয় সেখানে অনেক থাকবে।’
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, জাতীয় শিক্ষাক্রমের রূপরেখা অনুযায়ী ২০২২ সালে নতুন কারিকুলামের পাইলটিং করা হবে। আর ২০২৩ সাল থেকে শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হবে।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর সকালে প্রধানমন্ত্রীর কাছে জাতীয় শিক্ষাক্রমের রূপরেখা উপস্থাপনের দিন দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। ওইদিন তিনি জানিয়েছিলেন, ২০২২ সালে শিক্ষাক্রম পাইলটিংয়ের পর ২০২৩ সাল থেকে শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু করা হবে। পর্যায়ক্রমে ২০২৫ সালের মধ্যে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন সম্পন্ন হবে।
শিক্ষামন্ত্রী ওইদিন বলেন, ‘পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী (পিইসি), জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এবং সনদও দেওয়া হবে। প্রাথমিক ও অষ্টম শ্রেণির সমাপনীকে পাবলিক পরীক্ষা বলছি না। প্রাথমিক শেষে একটা এবং অষ্টম শ্রেণি শেষে একটা সনদ পাবেন শিক্ষার্থীরা। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণি ছাড়া সব শ্রেণিতে শ্রেণি সমাপনী পরীক্ষা হবে। শুধু তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত কোনও ধরনের পরীক্ষা থাকবে না। পঞ্চম এবং অষ্টম শ্রেণিতেও সনদ দেওয়া হবে। সনদ দেওয়ার জন্য তো পাবলিক পরীক্ষার দরকার নেই।’
উল্লেখ্য, সর্বশেষ কারিকুলাম পরিমার্জন করা হয় ২০১২ সালে। ২০১৩ সাল থেকে নতুন কারিকুলামে পরিমার্জিত পাঠ্যবই শিক্ষার্থীরা হাতে পায়। নিয়মানুযায়ী প্রতি ৫ বছর পর পর কারিকুলাম পরিমার্জন করা হয়। তবে সর্বশেষ কারিকুলাম পরিমার্জনের ১০ বছর পর কারিকুলাম পরিমার্জন করা হচ্ছে।স