সেই সাথে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার জেলা ও দায়রা জজ জেবুন্নেছা এই রায় ঘোষণা করেন।
ফেনীর পাবলিক প্রসিকিউটর হাফেজ আহমদ বিবিসিকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, ঘটনার দেড় বছরের মাথায় এই রায়ে নিহতের পরিবার সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে।
এদিকে আসামীপক্ষের আইনজীবী জানিয়েছেন, তারা এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন করবেন।
কী ঘটেছিল?
সতর্কতা: আপনার ওপর মানসিক চাপ তৈরি হতে পারে
গত বছরের ১৫ই এপ্রিল ফেনী পৌরসভার বাহারীপুর পূর্ব বাড়ি এলাকায় ফেসবুক লাইভে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত ওই গৃহবধূর নাম তাহমিনা আক্তার।
ওই লাইভ ভিডিওতে দেখা যায়, আসামী টুটুল ধারালো অস্ত্র দিয়ে মেঝেতে উপুড় হয়ে থাকা স্ত্রীর মাথা ও শরীরে উপর্যুপরি আঘাত করছেন।
ওই নারীর রক্তাক্ত দেহ মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
আসামী এই ভিডিওটি তৎক্ষণাৎ সরিয়ে নিলেও মুহূর্তেই মধ্যেই তা ভাইরাল হয়ে যায়।
পরে তিনি নিজেই পুলিশের কাছে ফোন করে হত্যাকাণ্ডের কথা পুলিশকে খুলে বলেন।
পুলিশ এসে টুটুলকে আটক করে এবং নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।। ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্রও উদ্ধারের দাবি করেছিল পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা সাহাব উদ্দিন বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এরপর গত বছরের ১১ই নভেম্বর আসামী টুটুলকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. ইমরান হোসেন।
৫ই ডিসেম্বরে অভিযোগ গঠনের পর চলতি ১৩ই জানুয়ারি মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
গত মঙ্গলবার আদালতে দুইপক্ষ তাদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন।
এদিকে নিহতের মেয়ে তার দাদীর হেফাজতে আছে বলে জানা গেছে।