পেটের ভেতর মুঠোফোন

রোগীর পেট থেকে বের করা মুঠোফোন

রোগীর পেট থেকে বের করা মুঠোফোনছবি: সংগৃহীত

তীব্র পেটব্যথা নিয়ে মিসরের একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন এক রোগী। তাঁর অবস্থা ক্রমেই আশঙ্কাজনক পর্যায়ে যাচ্ছিল। চিকিৎসকেরা দ্রুত পরীক্ষা করেন। অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন। অস্ত্রোপচারের সময় চোখ কপালে ওঠে চিকিৎসকদের! রোগীর পেটে আস্ত মুঠোফোন! এক–দুই দিন নয়, পুরো ছয় মাস পেটে আস্ত একটি মুঠোফোন নিয়ে বসবাস করছিলেন ওই রোগী!

বিচিত্র এই ঘটনা ঘটেছে মিসরের আসওয়ান ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে গত রোববার মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই রোগীকে হাসপাতালে আনেন স্বজনেরা। চিকিৎসকেরা শুরুতে বুঝতে পারেননি ওই রোগীর পেটব্যথার উৎস। এক্স-রে ও সিটি স্ক্যান করানো হয়। এসব পরীক্ষায় তাঁর পেটে ‘অদ্ভুত এক বস্তুর’ উপস্থিতি শনাক্ত হয়। আর এই কারণে প্রচণ্ড পেটব্যথায় ভুগছিলেন ওই রোগী।

পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকেরা ওই রোগীর অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন। দ্রুত তাঁকে অস্ত্রোপচারকক্ষে নেওয়া হয়। টানা দুই ঘণ্টা চলে অস্ত্রোপচার। রোগীর পেট থেকে আস্ত একটি মুঠোফোন বের করে আনেন চিকিৎসকেরা।

এ ঘটনায় অবাক আসওয়ান ইউনিভার্সিটির মেডিসিন অনুষদের ডিন মোহাম্মদ আল দাশৌরি। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালে এর আগে এমন কোনো রোগী আসেননি। ঘটনাটি আসলেই বিচিত্র। তবে ওই রোগী কীভাবে আস্ত একটি মুঠোফোন গিলে ফেলেছেন, সে বিষয়ে কিছু বলেননি।’

মুঠোফোন গিলে ফেলা ওই রোগীর নাম-পরিচয় প্রকাশ করেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সংবাদমাধ্যমের পক্ষ থেকেও তাঁর পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। তাই কখন ও কীভাবে তিনি এ কাণ্ড ঘটিয়েছেন, সেই বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি।

তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বরাতে সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ছয় মাস ধরে পেটে আস্ত একটি মুঠোফোন বয়ে বেড়িয়েছেন ওই রোগী। গিলে ফেলা মুঠোফোনের ব্যাটারিতে ক্ষতিকারক রাসায়নিক থাকায় তাঁর অবস্থা দিন দিন শোচনীয় হয়ে উঠেছিল। তবে এখন তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। হাসপাতালেই আছেন তিনি।

সূত্র : প্রথম আলো

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments