কারা কলা খেতে পারবেন না?

যেকোনো উৎসবেই খাওয়া দাওয়ার বিশেষ ব্যবস্থা থাকে। সাথে থাকে নানা ধরনের ফলমূল। তবে এমন কিছু ফল আছে যা খেলে বিশেষ কয়েকটি রোগের ক্ষেত্রে ক্ষতিকর। তাই সেসব ফলমূল খাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্ক থাকা উচিত।

কিডনির সমস্যা থাকলে খেয়াল রাখতে হবে, কোনোভাবেই যেন অতিরিক্ত পটাশিয়াম বা ফসফরাস শরীরে না যায়। তার জন্য যে ফলটি খাওয়ার বিষয়ে সবচেয়ে বেশি সাবধান হতে হবে, তা হল কলা।

কলায় ভিটামিন ও মিনারেল প্রচুর পরিমাণে থাকলেও তাতে অনেকটা পটাশিয়ামও থাকে। যদি রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে যায়, তবে কিডনির অসুখে আক্রান্তদের শারীরিক সমস্যা হতে পারে। ফলে যে কোনো উৎসবে কলা খাওয়ার সময়ে খেয়াল রাখা জরুরি, অন্য সব ফল খেলেও কলা না খাওয়া ভালো। আর এই ফলটি খেয়ে ফেললেও চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

এদিকে মানবদেহের জন্য অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো কিডনি। শরীর থেকে বর্জ্য এবং অতিরিক্ত তরল অপসারণ করতে সহায়তা করে এই অঙ্গটি। কিডনি মানুষের শরীরের লবণ এবং খনিজের ভারসাম্যতা বজায় রাখে। শরীর থেকে অ্যাসিড অপসারণ করে। শরীরকে সুস্থ রাখতেও অত্যন্ত সহায়ক। তাই কিডনির যথাযথ যত্ন নেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

আমাদের দৈনন্দিন কিছু অভ্যাস কিডনির জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। তাই এখন থেকেই সাবধানতা অবলম্বন করুন।

চলুন জেনে নেওয়া যাক, দৈনন্দিন কোন কোন অভ্যাস কিডনির ক্ষতি হওয়ার মূল কারণ।

 ১) ব্যথানাশক ওষুধের অতিরিক্ত ব্যবহার বাজারে ননস্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ড্রাগস খুব সহজেই কিনতে পাওয়া যায়। এগুলো হলো ব্যথানাশক ওষুধ। তবে এই ওষুধের অতিরিক্ত ব্যবহার কিডনির ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। বিশেষ করে যাদের ইতোমধ্যেই কিডনির সমস্যা রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে কিডনির মারাত্মক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

২) উচ্চ লবণযুক্ত খাবার রক্তচাপ বাড়ার অন্যতম প্রধান কারণ। ফলে কিডনির বিভিন্ন রোগের ঝুঁকিও বৃদ্ধি পায়। তাই খাবারের স্বাদ বাড়াতে কেবল লবণ ব্যবহারের পরিবর্তে, বিভিন্ন ভেষজ এবং মশলার ব্যবহার করুন।

 ৩) প্রক্রিয়াজাত খাবারে সোডিয়াম এবং ফসফরাসের মাত্রা বেশি থাকে। তাই কিডনির সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের, প্যাকেজড খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। উচ্চ ফসফরাসযুক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবারের সেবন, কিডনি এবং হাড়ের ক্ষেত্রে অত্যন্ত ক্ষতিকর।

 ৪) সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে, পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান, শরীর থেকে সোডিয়াম এবং টক্সিন বের করে দিতে সহায়তা করে। তাছাড়া এটি কিডনি স্টোন হওয়ার ঝুঁকিও হ্রাস করে। যারা ইতোমধ্যেই কিডনির সমস্যায় আক্রান্ত, তাদের কম তরল পান করা প্রয়োজন। তবে সুস্থ কিডনিযুক্ত ব্যক্তিদের, প্রতিদিন ৩-৪ লিটার পানি পান করা উচিত।

৫) রাতের ভালো ঘুম, শরীরের সামগ্রিক সুস্থতার ক্ষেত্রে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কিডনির কার্যকারিতা অনেকটাই রাতের ঘুমের ওপর নিয়ন্ত্রিত হয়।

সূত্র : আমাদের সময়

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments