দ্য ওয়ার ক্রাইমস ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটির প্রধান ডা. এম এ হাসান গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাদেশে ইতিহাসের নিকৃষ্টতম যেসব অপরাধ ঘটেছিল, তা প্রমাণের জন্য জোরালো তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করতে হবে। তার আগে এগুলো সংগ্রহ করার কাজটি বেশ কঠিন ও সময়সাপেক্ষ, যদিও তা অসম্ভব নয়।
তাঁর মতে, ৯ ডিসেম্বর ‘আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস’ হিসেবে ইতিমধ্যেই পালিত হচ্ছে। ফলে জাতিসংঘে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতির সুযোগ নেই। সে ক্ষেত্রে গণহত্যার স্বীকৃতির জন্য বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে যাওয়ার সুযোগ আছে। কারণ, গণহত্যার অভিযোগ কখনো তামাদি হয় না।
ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন মনে করেন, গণহত্যার আন্তর্জাতিকীকরণের জন্য বিশ্বজুড়ে জনমত গড়ে তোলার ওপর মনোযোগ দেওয়া উচিত। বিশ্বের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বাংলাদেশের জনগণ ২৫ মার্চ প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন নিয়ে প্রতিবছর রাস্তায় জড়ো হলে এবং বছরের পর বছর এটি চলতে থাকলে আন্তর্জাতিক মনোযোগ এতে আকৃষ্ট হবে।
তিনি গতকাল এই প্রতিবেদককে জানান, এ মাসে একাত্তরের স্মারক হিসেবে ৭১টি ডাকটিকিট প্রকাশের কথা ছিল। পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজও হয়েছিল। অজানা কারণে তা এখন এপ্রিলে প্রকাশ হওয়ার কথা বলা হচ্ছে। অথচ ১ থেকে ৫ এপ্রিল ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) সম্মেলনে যোগ দিতে প্রায় দেড় শ দেশের স্পিকারসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ঢাকায় আসছেন। তাঁদের হাতে ৭১টি ডাকটিকিটের স্মারক তুলে দেওয়া হলে গণহত্যার পক্ষে একটি জোরালো প্রচারণার সুযোগ ছিল।