প্রকল্প সূত্র জানায়, মূল টানেলের দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার। এর মধ্যে টানেলের প্রতিটি সুড়ঙ্গের দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার। দুই সুড়ঙ্গে দুটি করে মোট চারটি লেন থাকবে। মূল টানেলের সঙ্গে পশ্চিম ও পূর্ব প্রান্তে ৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক থাকবে। আর আনোয়ারা প্রান্তে রয়েছে ৭২৭ মিটার দীর্ঘ উড়ালসেতু।
কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে ১৮ থেকে ৩১ মিটার গভীরতায় সুড়ঙ্গ তৈরি করা হচ্ছে। প্রতিটি ৩৫ ফুট প্রশস্ত ও ১৬ ফুট উচ্চতার।
চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গা প্রান্ত থেকে প্রথম সুড়ঙ্গের খননকাজ শুরু হয়। এ কাজ শেষ হয় গত বছরের ২ আগস্ট। গত বছরের ১২ ডিসেম্বর ভার্চ্যুয়ালি দ্বিতীয় সুড়ঙ্গের খননকাজের উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। চট্টগ্রামের আনোয়ারা প্রান্ত থেকে এই খননকাজ শুরু হয়।
প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, নদীর তলদেশে প্রথম সুড়ঙ্গ খনন করতে যেখানে ১৭ মাস লেগেছিল, সেখানে দ্বিতীয় সুড়ঙ্গ খননে সময় লাগছে মাত্র ১০ মাস।
এদিকে খননকাজ শেষ হওয়ার পর প্রথম সুড়ঙ্গে এখন সড়ক নির্মাণের কাজ চলছে। ইতিমধ্যে ১ হাজার ৬২৩ মিটার ‘স্ল্যাব’ ঢালাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। আনোয়ারা প্রান্তে উড়ালসেতুর কাজও শেষ পর্যায়ে। এ ছাড়া নগর ও আনোয়ারা প্রান্তে ৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সংযোগ সড়কের নির্মাণকাজও চলছে।
সর্বশেষ অগ্রগতি প্রতিবেদন অনুযায়ী, টানেল প্রকল্পে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কাজ এগিয়েছে ৭৩ শতাংশ। প্রকল্প পরিচালক হারুনুর রশিদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, দ্বিতীয় সুড়ঙ্গটির খননকাজ আগামী শুক্রবারের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে নির্দেশনায় কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।