লাশ গ্রহণ করার জন্য রাতেই চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার খাসকররা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে মিন্টু ও আজিজের পরিবারের ১২ সদস্য কারাগারের সামনে আসেন।
পরিবারের স্বজনেরা জানান, দণ্ডপ্রাপ্ত আজিজের স্ত্রীসহ দুই ছেলেমেয়ে ও মিন্টুর স্ত্রীসহ এক মেয়ে রয়েছে।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘দুই পরিবারই অত্যন্ত দরিদ্র। তাঁদের কোনো জমি জায়গা নেই। লাশ দাফনের আনুষ্ঠানিকতার খরচের টাকাও গ্রামবাসী দিচ্ছে। রাতেই পারিবারিক কবরস্থানে তাঁদের দাফন হবে।’
এদিকে বিচারিক ও আইনি প্রক্রিয়া শেষে এই ফাঁসি কার্যকরের মধ্য দিয়ে টানা ১৮ বছরের প্রতীক্ষার অবসান ঘটায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন নিহত কমেলা খাতুন ও তাঁর বান্ধবী ফিঙ্গে বেগমের স্বজনেরা।
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্রে জানা গেছে, ফাঁসি কার্যকরের আগে দুজনকে গোসল করানো হয়। এ ছাড়া অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা শেষে ফাঁসি কার্যকর করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম, সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীনসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।