মুনীরুজ্জামানের মৃত্যু অপূরণীয় ক্ষতি | প্রথম আলো

প্রধান অতিথি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, মুনীরুজ্জামানের ভাবনার কেন্দ্র ছিল মানুষ ও মানবতা। তিনি তাঁর সারা জীবনে এই লক্ষ্যেই কাজ করেছেন। ষাটের দশকে তিনি আইয়ুববিরোধী আন্দোলনে ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন, শ্রমিক আন্দোলন করেছেন এবং নব্বই দশকে সমাজতন্ত্রের পতনের পরে তিনি সাংবাদিকতায় যুক্ত হয়েছেন। তবে তাঁর লক্ষ্য ও আদর্শের পরিবর্তন হয়নি। শোষিত মানুষের মুক্তি ও মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় তাঁর আদর্শ তরুণ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে।

অনুজেরা যখন চলে যান, তখন সেই বেদনা অসহনীয় হয়ে ওঠে বলে মন্তব্য করেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি সারোয়ার আলী। তিনি বলেন, অসাম্প্রদায়িক ও মানবমুক্তির যে আন্দোলন ষাটের দশকে শুরু হয়েছিল, মুনীরুজ্জামান তাতে অনন্য ভূমিকা রেখেছেন। সেই স্বপ্ন তিনি কখনো ত্যাগ করেননি।

প্রাবন্ধিক ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক বলেন, বহুমুখী প্রতিভা ছিল মুনীরুজ্জামানের। সব কাজই তিনি দক্ষতার সঙ্গে করেছেন। সমাজতন্ত্রের পতনের পরে বাম ধারার রাজনীতির অনেকের পক্ষেই পেশাগত জীবনে প্রবেশ করা কঠিন হয়ে পড়েছিল। কিন্তু মুনীরুজ্জামান খুব সহজেই সাংবাদিকতায় যুক্ত হয়ে সফল হয়েছিলেন।

স্পষ্টভাষী ও নীতিনিষ্ঠ মানুষ মুনীরুজ্জামানের মানবিক মূল্যবোধ গভীর ছিল বলে উল্লেখ করেন বিচারপতি মমতাজউদ্দিন আহমদ।

Source link

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments