ব্রুজোন যেকোনো প্রশ্নেই বাংলাদেশ ফুটবল, ফুটবলারদের সামর্থ্য ইত্যাদি টেনে আনেন বরাবর। বলতে থাকেন বাংলাদেশের ফুটবলের নানা প্রসঙ্গে। আজ ভারতের সঙ্গে ড্রয়ের পর শুধুই পরিতৃপ্তি তাঁর মুখে, ‘১০ জন নিয়েও আমরা হারিনি। বরং আমরা ইতিবাচক খেলেছি। পরিস্থিতির দাবি মেনে ছেলেরা সেরাটা দিয়েছে। আমরা আজ প্রমাণ করতে পেরেছি যে বাংলাদেশের ফুটবলারদের ভালো খেলার সামর্থ্য আছে।’
কিন্তু ১০ জনের দলের পক্ষে গোল করা কঠিনই। সেই কঠিন কাজটিই আজ করেছে বাংলাদেশ। কোচ বলছেন, ‘আমি অবশ্যই আশাবাদী ছিলাম ম্যাচে ফিরে আসার ব্যাপারে। ছেলেদের বলেছিলাম, হাল ছেড়ো না। চেষ্টা করতে থাকো। ওরা আমার কথামতো খেলতে পেরেছে।’
সুনীল ছেত্রীকে নিয়ে ভয় ছিল বাংলাদেশের। ভারত অধিনায়ক ঠিকই ১টি গোল করে এগিয়ে নেন তাঁর দলকে। সেই প্রসঙ্গ টেনে ব্রুজোনের কথা, ‘আমরা বিশেষ পরিকল্পনা নিয়েছিলাম ছেত্রীকে নিয়ে। তারপরও আমাদের ভুলে প্রথমার্ধে সে গোল করে ফেলেছে। এটা আনন্দের যে আমরা সেই গোল শোধ দিতে পেরেছি।’
এই মালে স্টেডিয়াম ব্রুজোনের হাতের তালুর মতো চেনা। এখানে ক্লাব পর্যায়ে তিনি কাজ করেছেন। গত আগস্টে এএফসি কাপে এই মাঠেই বসুন্ধরা কিংস এগিয়ে থেকেও ১০ জন নিয়ে ড্র করেছিল মোহনবাগানের সঙ্গে। আজ পিছিয়ে থেকে ড্র। স্বাভাবিকভাবেই ব্রুজোন তৃপ্ত, ‘১০ জনে পরিণত হলে আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে ম্যাচের কৌশল ঠিক করেছিলাম। ছেলেদের ধন্যবাদ যে সেটা কাজে এসেছে।’