করোনার প্রথম ধাক্কা কাটিয়ে পোশাক রপ্তানি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। গত জুনে শেষ হওয়া ২০২০–২১ অর্থবছরে ৩ হাজার ১৪৫ কোটি মার্কিন ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে, যা আগের বছরের চেয়ে সাড়ে ১২ শতাংশ বেশি। চলতি ২০২১–২২ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে অবশ্য প্রবৃদ্ধি ভালো হয়নি। তবে আগস্টে আবার ২৭৫ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে সাড়ে ১১ শতাংশ বেশি।
এদিকে পোশাকের মতো অন্যান্য খাতের ব্যবসায়ীরাও দুশ্চিন্তায় আছেন। চামড়াবিহীন জুতা রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ম্যাফ শুজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাসনাত মোহাম্মদ আবু ওবায়দা প্রথম আলোকে বলেন, চীনে প্রতি সপ্তাহে কাঁচামালের দাম ১৫-২০ শতাংশ হারে বাড়ছে। কনটেইনার ভাড়াও বেড়ে গেছে। সেই তুলনায় ক্রেতারা বাড়তি অর্থ দিতে চাইছেন না। ফলে পরিস্থিতি দিন দিন জটিল হচ্ছে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ–চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিসিসিসিআই) সহসভাপতি এ টি এম আজিজুল আকিল অবশ্য প্রথম আলোকে বলেন, বিদ্যুৎ-সংকট তিন প্রদেশে বেশি। ফলে বর্তমান ক্রয়াদেশের পণ্য পাওয়া নিয়ে খুব একটা সমস্যা হবে না। তবে ভবিষ্যতের ক্রয়াদেশ নিয়ে কিছুটা জটিলতা হতে পারে। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ-সংকটের প্রভাব এখনো প্রকট না হলেও কনটেইনার ভাড়া নিয়ে ভোগান্তির মধ্যে রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে কনটেইনার ভাড়া ১০ গুণ পর্যন্ত বেড়েছে। এক মাস আগে বুকিং দিয়েও কনটেইনার পাওয়া যাচ্ছে না।