আন্দামান থেকে ফিরে সুধীর মজুমদার নেত্রকোনা শহরের সাতপাই এলাকায় বসবাস শুরু করেন। ওই বছরই তিনি কিশোরগঞ্জের বেলা রানী মজুমদারকে বিয়ে করেন। তাঁদের চার মেয়ে ও দুই ছেলে। সন্তানদের মধ্যে দুই মেয়ে সবিতা ধর ও সুলতা রাউত জীবিত আছেন।
বয়সের ভারে ন্যুব্জ সুধীর মজুমদার অস্ত্র হাতে সরাসরি যুদ্ধে অংশ নিতে না পারলেও তরুণদের যুদ্ধে যেতে উদ্বুদ্ধ করেন। মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয়, খাবার সরবরাহ, অর্থসহ নানাভাবে সহযোগিতা করেন। মুসলিম লীগ ও রাজাকার-আলবদর বাহিনীর লোকেরা ২৭ মে সুধীর মজুমদার ও তাঁর চাচাতো ভাই আইনজীবী ধীরেন্দ্র চন্দ্র মজুমদারকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর ২৩ আগস্ট সুধীর মজুমদারের স্ত্রী বেলা রানীকেও গ্রামের বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায় শান্তি কমিটির সদস্য ও বর্বর পাকিস্তানি সেনারা। লুটপাট করে বাড়ি জ্বালিয়ে দেয়। তিন দিন পর বেলা রানীকে ছেড়ে দিলেও সুধীর চন্দ্র ও তাঁর ভাইকে ছাড়েনি। ১ সেপ্টেম্বর রাতে মোক্তারপাড়া বধ্যভূমিতে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে।
একাত্তরের নেত্রকোনা মুজিব বাহিনীর কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার জাহান চৌধুরী জানান, পাকিস্তানি হানাদাররা গণহত্যা শুরু করলে সুধীর মজুমদার তরুণদের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে সংগঠিত করা, মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয়সহ বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি নেত্রকোনায় সামাজিক-সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নেতৃত্ব দিয়েছেন।