অর্থবিত্তশালী পরিবারের ভর্তি–ইচ্ছুকেরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ না পেলে বিদেশে কিংবা বিশাল অঙ্কের টাকা নিয়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের দ্বারস্থ হয়। গরিব শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন থাকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার। অনেক বিত্তশালী পরিবারের মেধাবী সন্তানও যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য পরম-চরমতম চেষ্টা করে না, তা নয়। নিম্ন আয়ের পরিবারের সন্তানদের যারা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন দেখে বা এ ছাড়া তাদের আর কোনো উপায় নেই, আর্থিক সংকটের মধ্যেও ধারকর্জ করে ভর্তি লড়াইয়ে নামতে হয় তাদের। মেধার পরীক্ষার পাশাপাশি তাদের ভর্তি পরীক্ষার টাকা সংগ্রহ করার মতো কঠিন পরীক্ষাও দিতে হয়। যে মা–বাবা দিনে আনেন দিন খান, তাঁদের পক্ষে সন্তানের ভর্তি পরীক্ষার টাকার সংস্থান করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে কিংবা উচ্চ সুদে মহাজনদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে যে কটা বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্ভব হয় পরীক্ষা দেয়। কখনো কখনো পোষা গবাদিপশুও বিক্রি করতে হয়।
অনেক শিক্ষার্থী শুধু যাতায়াতের টাকার অভাবে আবেদন করেও পরীক্ষা দিতে যেতে পারে না। আর যাদের আবেদনেরই টাকা থাকে না, তাদের পক্ষে অনেক প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষার কথা ভাবা বাতুলতা মাত্র। তারা তাদের নিয়তির কাছে নিজেদের সঁপে দেয়। এ বছর এ রকম অনেকেই অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পরীক্ষা দিতে পারবে।