নতুন শিক্ষাক্রম সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য আমাদের নীতিনির্ধারকদের অবিলম্বে নিম্নলিখিত বিষয়ে মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন।
১। উন্নত বিশ্বের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি স্কুল আব এডুকেশন বা ফ্যাকাল্টি অব এডুকেশন বা গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব এডুকেশন রয়েছে, যারা কেবল প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষক তৈরি করতে পারে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো মূলত তিনটি স্নাতক ও স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে—শৈশবের শিক্ষা, প্রাথমিক শিক্ষা ও মাধ্যমিক/উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা। উন্নত দেশে এই প্রোগ্রামগুলো সরকার সরাসরি অর্থায়ন করে, যেখানে অন্যান্য প্রোগ্রামে পড়ার সময় শিক্ষার্থীদের প্রতিবছর ৩০-৫০ হাজার ডলার টিউশন ফি দিতে হয়।
২। শিক্ষাসম্পর্কিত ইনস্টিটিউটগুলো প্রধানত কোর্সের বিষয়বস্তু, এমনকি সাবজেক্ট সম্পর্কে দক্ষতার পরিবর্তে উদ্ভাবনী শিক্ষণ, শিখন ও মূল্যায়নপদ্ধতির ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। কী শেখানোর পরিবর্তে কীভাবে শেখানো যায়, সেই বিষয়ে তারা মনোযোগ দেয়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, অস্ট্রেলিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মাধ্যমিক শিক্ষার ওপর মাস্টার্স প্রোগ্রামে ১৬টি কোর্স রয়েছে, যার মধ্যে ১০টি মূল কোর্স, ২টি পেশাগত অনুশীলন কোর্স ৬০ দিনের জন্য সরাসরি স্কুলে গিয়ে এবং ২টি বিষয়ে বিশেষ দক্ষতা অর্জনের জন্য ২টি করে মোট ৪টি কোর্স নিতে হয় বিজ্ঞান, গণিত, আইটি, আর্টস ইত্যাদি এরিয়া থেকে। এ প্রোগ্রামের মূল কোর্সে শিক্ষাক্রম ও পেডাগজি-বিষয়ক ছয়টি কোর্স রয়েছে। এখন আমাদের শিক্ষকেরা তাঁদের মাস্টার্স প্রোগ্রামে যা পড়ান, তার সঙ্গে এই প্রোগ্রামের তুলনা করুন, বিস্তর পার্থক্য খুঁজে পাবেন।