তালেবানের আক্রমণে কাবুলের পতন হয়েছিল ১৫ আগস্ট। সেই থেকে ভারতের সঙ্গে আফগানিস্তানের বিমান পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। ৩১ আগস্ট কাতারের রাজধানী দোহায় ভারতীয় রাষ্ট্রদূত দীপক মিত্তলের সঙ্গে তালেবান মুখপাত্র মহম্মদ আব্বাস স্ট্যানিকজাইয়ের আনুষ্ঠানিক বৈঠক হয়েছিল। সরকার গঠনের পর তালেবানের সঙ্গে আজ পর্যন্ত ভারতের আর কোনো বৈঠকও হয়নি। তালেবান সরকারকে সার্কের বৈঠকে যোগ দেওয়ার পাকিস্তানের প্রস্তাবেরও বিরোধিতা করেছে ভারত। ভারত এখনো তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রশ্নে যথেষ্ট আড়ষ্ট। ভারত চায়, স্বীকৃতি দানের আগে তালেবানরা বিশ্বের বিভিন্ন শক্তির চাহিদা মেনে নিক। সরকারের চরিত্র প্রতিনিধিত্বমূলক হোক। সব সম্প্রদায় তাতে অংশ নিক। ন্যায়ের শাসন প্রতিষ্ঠিত হোক। মানবাধিকার রক্ষায় শাসকেরা যত্নবান হোক। নারীদের নিরাপত্তা ও বিকাশে সহায়ক হোক। তাদের বিরুদ্ধে বৈষম্য যেন না হয়। সন্ত্রাস দমনেও তালেবান সদর্থক ভূমিকা নিক। তালেবান সরকার এখনো এসব বিষয়ে এমন কিছু করেনি, যা ভারতসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশকে সন্তুষ্ট করে। এই অবস্থায় কাবুল-দিল্লি বিমান চলাচল শুরু করার প্রস্তাব ভারত মেনে নেবে কি না, কিংবা নিলেও কোন শর্ত মেনে, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। আফগান জনগণের কাছে ভারতীয় চিকিৎসা পরিষেবা বরাবরই খুব গুরুত্বপূর্ণ।
