আনারুল ইসলাম মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর অনেক দিনের স্বপ্ন বিএসএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে ভ্যানচালক বাবার সংসারে আর্থিক অসচ্ছলতা ঘোচাবেন। সেই স্বপ্ন থেকেই ডিপ্লোমা প্রকৌশল ডিগ্রির জন্য তিনি বগুড়া পলিটেকনিকে বদলি নেন। জয়পুরহাট থেকে বদলির কাগজপত্র নিয়ে বগুড়া ১১ সেপ্টেম্বর বগুড়ায় আসেন। ওঠেন বগুড়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের পাশে চকফরিদ এতিমখানাসংলগ্ন ‘ইঞ্জিনিয়ার ছাত্রাবাস’ নামে একটি মেসে।
আনারুল বলেন, মেসে প্রথম মাসের সিটভাড়া ও ডাইনিং খরচ বাবদ ৯০০ টাকা জমা দেওয়ার পর তাঁর কাছে শ দুয়েক টাকা ছিল। ভর্তির টাকা কীভাবে জোগাড় করবেন, তা নিয়েই দুশ্চিন্তাই ছিলেন। ৩০ তারিখের পর বাড়ি থেকে বিকাশের মাধ্যমে ভর্তির জন্য টাকা পাঠানোর কথা ছিল তাঁর বাবার।
আনারুল ইসলাম আরও বলেন, ওই ছাত্রাবাসের নিচতলায় অন্য এক ছাত্রের সঙ্গে তিনি একটি কক্ষে উঠেছিলেন। ২১ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে আটটা থেকে নয়টার মধ্যে মেসের দোতলায় ডাইনিংয়ে খেতে যান তিনি। খাওয়াদাওয়া সেরে বারান্দায় সবে দাঁড়িয়েছেন, এ সময় দুজন যুবক তাঁকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মুখ চেপে ধরে দোতলার একটি বাথরুমে নিয়ে যান। এরপর তাঁরা চাঁদা ও মুঠোফোন দাবি করেন। কিন্তু চাঁদা না দেওয়া তারা ধারালো চাকু দিয়ে তাঁর ডান হাতের দুই আঙুল কেটে দেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে মেসের বাইরে ফেলে রেখে তাঁরা পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন জড়ো হওয়ার পর একজন নারী তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে দেন।