জাতিসংঘ ১৯৬৭ সালে বলেছিল, কোনো রাষ্ট্র ভিন্ন গ্রহ–উপগ্রহের মালিক হতে পারবে না। কিন্তু কোনো ব্যক্তি এই দাবি করতে পারবেন না, এমন কথাও বলা নেই। সেই যুক্তিতে হোপ চাঁদের মালিকানা দাবি করে জাতিসংঘকে চিঠি দিয়েছিলেন। জাতিসংঘ তার জবাব দেয়নি। জাতিসংঘের মৌনতাকে সম্মতি ধরে নিয়ে তিনি চাঁদের জমি বেচা শুরু করেছিলেন। ১৯৮০ সাল থেকে এই ৪১ বছর ধরে চলছে হোপের চাঁদের জমির ব্যবসা।
হোপ আর তাঁর কাস্টমারদের কেনাবেচা নিয়ে লোকে আগে হাসাহাসি করত। কিন্তু এখন হোপের দাবি অনেককেই ভাবাচ্ছে। আইনজ্ঞরা এখন বলছেন, এইভাবে চাঁদের জমি বিক্রি বৈধ না। কারণ, সরকার ছাড়া জমি বেচা যায় না। এরপর হোপ নিজেই চাঁদের নামে সরকার গড়েছেন। সেই সরকারের নাম গ্যালাকটিক ইনডিপেনডেন্ট গভর্নমেন্ট। তিনি নিজে সেই সরকারের প্রেসিডেন্ট।
২০০৯ সালে হোপের সরকারের স্বীকৃতিপত্রে সই করেছিলেন হিলারি ক্লিনটন। সরকার থাকলে সংবিধান লাগে, দরকার নিজস্ব মুদ্রা, পতাকা, প্রতীকসহ আরও অনেক কিছু। হোপ সেই সবই বানিয়েছেন। তাঁর সরকারের নিজস্ব মুদ্রা আছে। নিজের আইনকানুনও আছে। নেভাদায় লুনার এমব্যাসির মূল কার্যালয়। সব মিলিয়ে ডজনখানেক কর্মী কাজ করেন সেখানে। আরও মারাত্মক কথা হলো, হোপ শুধু চাঁদে থেমে নেই। এখন তিনি বুধ, মঙ্গল, শুক্র, প্লুটো গ্রহের জমিও বেচা শুরু করেছেন।