এই আস্তাকুঁড়ে গত মঙ্গলবার বর্জ্য ফেলতে গিয়েছিলেন একটি ট্যানারির একজন কর্মী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, আস্তাকুঁড়ের পাড় ভেঙে প্রায়ই চামড়ার উচ্ছিষ্টের ঢল নদীতে গিয়ে পড়ে।
আমরা যেদিন চামড়াশিল্প নগরে যাই, সেদিন (মঙ্গলবার) সকালেই একটি মানববন্ধন করে ট্যানারি শ্রমিক ইউনিয়ন। শ্রমিক ইউনিয়নের বক্তব্য হলো, ট্যানারি বন্ধ করা যাবে না। সায়মিক বন্ধ হলেও মালিকপক্ষ শ্রমিক ছাঁটাইয়ের সুযোগ পাবে।
এর আগে জাতীয় সংসদের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি গত ২৩ আগস্ট পরিবেশদূষণের দায়ে চামড়াশিল্প নগরের ট্যানারি সাময়িক বন্ধের সুপারিশ করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে পরিবেশ অধিদপ্তর ৯ সেপ্টেম্বর বিসিকের চেয়ারম্যানকে একটি চিঠি দিয়ে ট্যানারি কেন বন্ধ করা হবে না, সে বিষয়ে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় দেয়।
এখন যদি দূষণের দায়ে ট্যানারিগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়, তাহলে বেকার হবেন হাজার হাজার শ্রমিক–কর্মচারী। ট্যানারিকে দেওয়া ঋণ নিয়ে বিপাকে পড়বে ব্যাংকগুলো। দেশের চামড়া রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাবে। অভ্যন্তরীণ বাজারমুখী পাদুকা ও চামড়াজাত পণ্যশিল্প বড় সংকটে পড়বে।
এতে অবশ্য চামড়াশিল্প নগরে ‘অকার্যকর’ বর্জ্য পরিশোধনাগার নির্মাণের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের কোনো কিছু যাবে আসবে না। তাঁরা জনগণের করের টাকায় নিয়মিত বেতন–ভাতা পেতে থাকবেন। অবসরে যাওয়া কর্মকর্তাদের অবসর–সুবিধায়ও কোনো কাটছাঁট হবে না। শুধু বন্ধ হবে উদ্যোক্তার শিল্প, শ্রমিকের জীবিকা।