কুষ্টিয়ায় বিরল প্রজাতির ধান উদ্ভাবন

নিজস্ব প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার কুমারখালীর নন্দলালপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিরল প্রজাতির ধান উদ্ভাবন করেছেন বলে দাবী করেন। উচ্চ ফলনশীল এই ধান সরকারিভাবে ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে কৃষকদের নিকট পৌঁছালে প্রতি বিঘায় ২৫/৩০ মণ ধান উৎপাদন হতে পারে বলে জানান।

 

 

 

সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম জানান, তার বাড়ির সাথেই প্রায় ৩০ বিঘা জমি রয়েছে যেখানে তিনি বিভিন্ন ধরনের ধান ও সবজি চাষ করে থাকেন। গত মৌসুমের আগের বার তার বাড়িতে কর্মরত আব্দুর রাজ্জাক ধানের মাঠ পরিচর্যার সময় অস্বাভাবিক একটি ধান গাছ দেখে ডেকে নিয়ে যায়। তিনি দেখতে পান খেজুরের মতো অসংখ্য ধান রয়েছে ছরার সাথে। বিষয়টি তিনি আমলে নিয়ে ধান কাটার সময় আলাদা ভাবে বিরল প্রজাতির ধান রেখে দেন এবং চারা উতপাদন করেন। এবং পরের বছর সেই চারা থেকে যে ধান পাওয়া যায় সেই ধানের চারায় এবছর ১০ কাঠা জমিতে ধান লাগান। শিষগুলোয় খেজুরের মতো অসংখ্য ধানের ভাড়ে গাছগুলো মাটিতে পরে যায়। তিনি আরো বলেন ১৯৯৬ সালে ঝিনাইদহের হরিপদ কাপালী যে ধান উদ্ভাবন করেছেন এই ধান তার থেকে চিকন এবং আরো বেশী উতপাদনশীল হবে। তিনি ৪৯ ধান ও বিরল প্রজাতির ধানের দুটি ছরা আলাদাভাবে ছাড়িয়ে দেখান ফলনের দিক দিয়ে কতো পার্থক্য বিরল প্রজাতির এই ধানটি ৪৯ ধানের প্রায় ডাবল। তিনি বলেন কৃষি সম্প্রসারণ অফিস থেকে যদি কৃষকদের মুখে হাসি ফোটাবার জন্য তার উৎপাদনকৃত সমস্ত ধান নিতে চায় তবে দিয়ে দিবেন।

 

 

 

এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার ও কৃষিবিদ দেবাশীষ দাস বলেন, নজরুল ইসলামের নিকট থেকে ধানের নমুনা নিয়ে ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে। যদি তারা পরীক্ষা করে দেখেন এই প্রজাতির ধান বাংলাদেশে ইতিপূর্বে চাষ হয়নি সেক্ষেত্রে কৃষককে মুল্যায়ন করা হবে। এবং উচ্চ ফলনশীল হলে বাংলাদেশের কৃষকরা অনেক উপকৃত হবেন।

Source link

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments