চড়া দাম দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করে শহীদুল্লাহ বলছিলেন, এবার মনে হয় কপালে ইলিশ জুটবে না। আরেক ক্রেতা শিক্ষক আতিকুর রহমান ইলিশ বিক্রেতাকে প্রশ্নের পর প্রশ্ন করছিলেন। তাঁর বক্তব্য হলো, অমৌসুমে ইলিশের যে দর, মৌসুমে একই দাম কেন। বিক্রেতার জবাব, আড়তে দাম বেশি হলে তাঁর করার কী আছে।
আড়তে আসলেই কি ইলিশের দাম চড়া—খোঁজ নিতে বরিশালের পোর্ট রোডের পাইকারি বিক্রয়কেন্দ্র বা মোকামে গিয়ে দেখা গেল, ভারতে রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার পর দর অনেকটাই বেড়ে গেছে। বিক্রেতারা এ-ও জানিয়েছেন, ইলিশ কম ধরা পড়ায় এ মৌসুমে দাম তেমন একটা কমেনি।
আড়তদারেরা জানান, পোর্ট রোডের আড়তে গতকাল ৭০০ গ্রাম থেকে ১ কেজির কম ওজনের ইলিশ প্রতি মণ ৩৮ হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়, কেজি পড়ে ৯৫০ টাকার মতো। এক কেজি আকারের ইলিশ বিক্রি হয় ৪৬ হাজার টাকা মণ দরে। কেজি দাঁড়ায় ১ হাজার ১৫০ টাকা। আর দেড় কেজি ওজনের ইলিশের দাম ছিল ৫২ হাজার টাকা মণ, কেজি ১ হাজার ৩০০ টাকা। আড়তে সাগরের ইলিশও বিক্রি হয়। দামও কম। মণ ২০ থেকে ২২ হাজার টাকার মধ্যে। যদিও ক্রেতারা খোঁজেন নদীর ইলিশ।