মাতৃকালীন ভাতা : সরেজমিনে না যেয়ে অফিসে বসে যাচাই বাছাই

নিজস্ব প্রতিবেদক: কুষ্টিয়া মহিলা অধিদপ্তর থেকে মাতৃকালীন ভাতার কাগজপত্র অফিসে বসেই আজ যাচাই বাছাই করবেন দায়িত্বে থাকা উপ-পরিচালক সহ তার মনোনীত ব্যক্তিরা। দুঃস্থ ও বিত্তহীন নারীদের মধ্যে মাতৃকালীন ভাতা প্রদান করার নিয়ম থাকলেও ১৪ টি ওয়ার্ডের পৌরসভার কাউন্সিলরের মাধ্যমে নেয়া তালিকা থেকে ঘরে বসেই আজ বাছাই করে মাতৃকালীন ভাতা প্রদানের সিদ্ধান্ত নিবেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের কুষ্টিয়া অফিস। আজ যাচাই বাছাই কমিটি আবেদনগুলো নিয়ে বসবেন। এ বিষয়ে গতকাল হিসাব রক্ষকসহ কয়েকজনকে নিয়ে তিনি তার অফিস কক্ষে রুদ্ধদার বৈঠক করেন।

 

সূত্রের দাবী যে সকল আবেদনের টাকা জমা পড়েছে সেগুলোকে ভাতা প্রদানের তালিকায় রাখা হয়েছে। যারা টাকা দিতে ব্যর্থ তাদের ভাতা প্রদান করা হচ্ছে না। নিয়ম অনুযায়ী অর্থবিত্ত সম্পূর্ণ মানুষের ভাতার টাকা পাওয়ার কোন কারণ নেই। যারা অর্থহীন তাদের প্রদান করার জন্য সরকার মাতৃকালীন ভাতার নিয়ম তৈরী করেছে। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা আবেদনকারীদের আবেদন অনুযায়ী ঠিকানায় গিয়ে সরেজমিন দেখে ভাতা প্রদান করবেন এমন নিয়ম থাকলেও ঘরে বসেই আবেদনের যাচাই বাছাই করে ভাতার টাকা প্রদান করার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে চলতি দায়িত্বের উপ-পরিচালক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গরীব, দুঃস্থ ও অসহায় নারীদের জন্য এই ব্যবস্থা করেছেন। প্রতিটি গর্ভবতী নারী প্রতিমাসে ৮০০ টাকা করে ৩ বছর মেয়াদে মোট ২৮ হাজার ৮শত টাকা পাবেন। কুষ্টিয়া সরকারী নিয়মনীতি উপেক্ষা করে, বাংলাদেশের কোন জেলাতে এই ব্যবস্থা না থাকলেও কুষ্টিয়াতে চলতি দায়িত্বে উপ-পরিচালক হিসাবে নূরে সফুরা ফেরদৌস যোগদানের পর এক নতুন ফরমান জারি করেছেন। সারা বাংলাদেশে মহিলা অধিদপ্তরে ভুক্তভোগীরা আবেদন করেন এবং সেটি যাচাই বাছাই করে অগ্রগামী করা হয়। অথচ এবার কুষ্টিয়া মহিলা অধিদপ্তরের চলতি দায়িত্বের উপ-পরিচালক পৌরসভার প্রতিটি কাউন্সিলরকে ১৪টি করে ভাগ করে দিয়েছেন। এতে পৌর এলাকার বর্ধিত ওয়ার্ডে স্বাভাবিকভাবে গরীব এবং দুঃস্থদের সংখ্যা বেশি। শহরের প্রাণকেন্দ্রের ওয়ার্ডগুলিতে তেমন অস্বচ্ছল এবং অসহায় গর্ভবতী নারীর সংখ্যা তুলনামূলক ভাবে অনেক কম। কোন কোন ওয়ার্ড কাউন্সিলর ১৪ জনের তালিকা পূরন করতে পারেন নি। এক্ষেত্রে অভিযোগ উঠেছে অসহায় দুঃস্থদের চেয়ে দালান বাড়ির স্বচ্ছল গর্ভবতী নারীদের এই তালিকায় দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকটি ওয়ার্ড থেকে ১৪জন করে গর্ভবতী নারীদের তালিকা পাঠানো হয়েছে। গত ১৫ সেপ্টেম্বর মহিলা অধিদপ্তরে তালিকা পাঠানোর সময়সীমা শেষ হয়েছে। আজ ১৪জনের মধ্যে কি যাচাই বাছাই হবে? যেখানে প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে ১৪ জনের বেশি নাম পাঠালে তবেই সেখানে যাচাই বাছাই সঠিক হতো। জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বাধীন জেলা কমিটিকে বাদ দিয়ে তিনি মনগড়া ব্যক্তিদের নিয়ে যাচাই বাছাইয়ের নামে প্রহসন সৃষ্টি করতে যাচ্ছেন।

 

চলতি উপ-পরিচালক নূরে সফুরা ফেরদৌস স্থানীয় সংসদ সদস্য, জেলা পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে না জানিয়ে তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলার এক নারী ও কুষ্টিয়া জামায়াত পরিবারের সদস্যদের নামে সেলাই মেশিন বরাদ্দ করায় এখনও কিছু সেলাই মেশিন বিতরন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। এমন একজন দায়িত্বহীন ব্যক্তি কিভাবে উপ-পরিচালকের চলতি দায়িত্বে থাকতে পারেন তা কারো বোধগম্য নয়।

Source link

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments