ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ছিল না কোন মিক্সিং মেশিন ও ভাইব্রেটর। স্থানীয় পোস্ট অফিসের পক্ষ থেকে দেখা যায়নি কোনো তদারকি। খোদ ডাক বিভাগের প্রকৌশলীর উপস্থিতিতেই রাতের আধারে নিন্মমানের খোয়া ও বালি দিয়ে ছাদ ঢালাইয়ের কাজ করেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
ঘটনাটি মঙ্গলবার রাতে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা পোস্ট অফিসে। তবে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের দাবি খোয়া, বালি ও সিমেন্ট মেশানোর মেশিন ফিরে যাওয়ায় তারা ছাদ ঢালাইয়ের বাকি কাজ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে হাতে মিশিয়েই রাতে করছেন।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, শৈলকুপা পোস্ট অফিসের ছাদ ঢালাই, প্রাচীর নির্মাণ ও বিভিন্ন সংস্কার কাজের কার্যাদেশ পেয়েছে ঢাকার নির্মান প্রকৌশলী লি. নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। টেন্ডারপত্র না দেখালেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় এ কাজের প্রাক্কলিত ব্যায় ধরা হয়েছে ৬৬ লাখ টাকা।
পোস্ট অফিসের সামনের দোকানী নুর ইসলাম বলেন, ‘পোস্ট অফিসের ছাদ ঢালাইয়ের কাজ ঠিকাদারের লোকজন রাতে সম্পন্ন করেছে। এ সময় খোয়া ও বালি মেশানোর কোনো মেশিন তাদের ছিল না। খোয়া ছিল নিম্নমানের। তদারকি ছিল না স্থানীয় পোস্ট অফিসের কোন কর্মচারীর।’
পোস্ট অফিসের পোস্টাল অপারেটর আব্দুল ওহাব বলেন, ‘পোস্ট অফিসের ঢালাই কাজ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান দিনে শুরু করলেও তা মাঝ পথে থামিয়ে আবার রাত ৯টার দিকে পুণরায় শুরু করে। তাদের কাজে ছিল অনিয়মে ভরা। এ সময় ছিল না মিক্সিং মেশিন, ভাইব্রেটরসহ ছাদ ঢালাইয়ের আনুসঙ্গিক যন্ত্রপাতি।
শৈলকুপা পোস্ট অফিসের পোস্ট মাস্টার মোমিনুল ইসলাম বলেন, ‘ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ছাদ ঢালাই কাজ দিনে শুরু করলেও মাঝ পথে তা থামিয়ে রাখে। পরে জানতে পেরেছি পোস্ট অফিসের ছাদ ঢালাই কাজ রাতে শুরু হয়েছে। এ সময় ডাক বিভাগের একজন প্রকৌশলী উপস্থিত ছিলেন।’
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার রবিউল ইসলাম বলেন, ঢালাই কাজ তারা দিনে শুরু করেন। কিন্ত মাঝ পথে ঢালাই মেশিন চলে যায়। এ কারণে তারা স্থানীয় শ্রমিক সংগ্রহ করে মঙ্গলবার রাতে ঢালাই কাজ পুণরায় শুরু করেন। স্থানীয় পোস্ট অফিসের কোনো ব্যক্তি না থাকলেও ডাক বিভাগের একজন প্রকৌশলী উপস্থিত ছিলেন।’
ডাক বিভাগের প্রকৌশলী জাকির হোসেন বলেন, ঢালাই কাজ মিক্সার মেশিন, ভাইব্রেটর ছাড়া হলেও কোনো সমস্যা হবে না।’ তবে দিনের ঢালাই রাতে সম্পন্ন কেন, এ প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান ও দ্রুত সটকে পড়েন।